আজকে আমরা ই ভিসা এবং ভিসা সম্পর্কে বিভিন্ন অজানা বিষয় গুলো জানার চেষ্টা করবো।
আর আপনি যদি ই ভিসা কিংবা ভিসা সম্পর্কিত এই অজানা বিষয় গুলো সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে চান। তাহলে আপনাকে নিচে উল্লেখ করা প্রশ্ন ও উত্তর গুলোতে নজর রাখতে হবে। যেমন,
ই ভিসা কাকে বলে?
উন্নত প্রযুক্তি সম্পন্ন ডকুমেন্ট বা আইডেন্টিটি কে বলা হয় ই-ভিসা। যার মাধ্যমে একটি দেশের মানুষ অন্য দেশে প্রবেশ ও প্রস্থান করতে পারবে। আর আপনার নিকট ই-ভিসা থাকলে ভিসা স্টিকার এর প্রয়োজন পড়বে না।
ই ভিসা কি? (বিস্তারিত সংজ্ঞা)
সহজ কথায় ই ভিসা হলো এক ধরনের ইলেকট্রিক ভিসা। যেখানে আগের তুলনায় ভিসার কার্যক্রম কে আরো সহজ করে দিয়েছে। আর ই ভিসার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো, এই ভিসা কম সময়ের মধ্যে পাওয়া সম্ভব।
জেনে রাখা ভালো যে, ই ভিসা হলো এক ধরনের বৈধ ভিসা। যার মাধ্যমে আপনি পৃথিবীর যে কোনো দেশে প্রবেশ করার জন্য বৈধ অনুমতি পাবেন। সেজন্য বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশেও ই ভিসা ব্যবহার করা হচ্ছে।
ভিসা শব্দের অর্থ কি?
আমরা সকলেই জানি যে, আপনি যখন আপনার নিজের দেশ থেকে অন্য কোনো দেশে যাবেন। তখন আপনাকে সেই দেশে প্রবেশ করার জন্য অনুমতি নিতে হবে।
আর সেই অনুমতি পাওয়া ও প্রমাণের ডকুমেন্টস কে বলা হয়, ভিসা (VISA). তাই “অনুমতি পত্র” কে ভিসা শব্দের অর্থ হিসেবে ধরা হয়।
ইলেকট্রনিক্স ভিসা (E-Visa) কিভাবে পাওয়া যায়?
আপনি যদি আমাদের বাংলাদেশ থেকে অন্য কোনো দেশে যাওয়ার জন্য ইলেকট্রনিক্স ভিসা পেতে চান। তাহলে আপনাকে দুতাবাসে যেতে হবে।
যেমন ধরুন আপনি যদি মালয়েশিয়া যেতে চান। এখন আপনাকে মালয়েশিয়া দুতাবাস যেতে হবে। সেখান থেকে আপনি আপনার ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এছাড়াও আপনি অনলাইন থেকেও আপনার ইলেকট্রিক ভিসা (E-Visa) এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
ভারতীয় ভিসা ও ই ভিসার মধ্যে পার্থক্য কি?
সহজ কথায় বলতে গেলে, ভিসা হলো বিশেষ এক ধরনের নথিপত্র। যার মাধ্যমে আপনি নির্দিষ্ট কোনো দেশে কিছু সময়ের জন্য অবস্থান করার অনুমতি পাবেন।
আর ভারতীয় ই ভিসা ই ভিসা হলো, এক ধরনের ইলেকট্রনিক্স ভিসা। যার মাধ্যমে আগের ভিসার নথির মধ্যে কিছুটা উন্নত প্রযুক্তির প্রয়োগ করা হয়েছে। যেখানে আপনি অনলাইন থেকে ই ভিসা আবেদন করতে পারবেন।
আর আপনি অনলাইন থেকেই আপনার ইন্ডিয়ান ই ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়াও স্টিকার যুক্ত ভিসার চাইতে ই ভিসা অনেক দ্রুত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ভিসা এর বহুবচন কি?
আমরা অনেকেই ভিসা এর বহুবচন কি তা জানতে চাই। তো ভিসা এর বহুবচন হলো, ভিসা।
সৌদি ই ভিসা কি?
বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশ থেকে ই ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরব যাওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
তো আপনি যখন এই নতুন ইলেকট্রনিক্স ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরব যাবেন। তখন তাকে বলা হবে, সৌদি ই ভিসা।
উক্ত বিষয় টি অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
এরপর সেই ভিসার আবেদন গ্রহনযোগ্য হলে, আপনাকে প্রয়োজনীয় অর্থ প্রদান করতে হবে। আর সবশেষে আপনার ইমেইল এড্রেস এর মধ্যে ইলেকট্রনিক্স ভিসা পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
ভারতীয়দের কি সৌদি আরবে ট্রানজিট ভিসা লাগবে?
আপনি যদি সৌদি আরবের মধ্যে প্রায় ৯৬ ঘন্টার বেশি সময় অবস্থান করতে চান। তাহলে আপনার অবশ্যই ট্রানজিট ভিসার দরকার হবে।
কিন্তুু যদি আপনি ৯৬ ঘন্টার মধ্যে নিজের দেশে ফেরত আসেন। তাহলে আপনার কোনো ধরনের ট্রানজিট ভিসার দরকার হবেনা।
সৌদি আরবে কি ট্যুরিস্ট ভিসা চালু আছে?
হ্যাঁ, বর্তমানে সৌদি আরব এর মধ্যে ট্যুরিস্ট ভিসার কার্যক্রম চালু আছে।
ই ভিসা নিয়ে আমাদের শেষকথা
আজকের আলোচনা তে আমি আপনাকে ই ভিসা কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলেছি।
এর পাশাপাশি আমি ই ভিসা রিলেটেড যে সকল বিষয় আছে। সেই বিষয় গুলো নিয়ে বিষদ ভাবে আলোচনা করেছি।
তো আশা করি, আজকের এই আর্টিকেল থেকে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন।
আর যদি আপনি এই ধরনের অজানা বিষয় গুলো সহজ ভাষায় জানতে চান।
তাহলে আমাদের সাথে থাকবেন। ধন্যবাদ, এতক্ষন ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।