নিকাশ ঘর যার মূল কাজ হলো, আন্তঃব্যাংকিং এর যাবতীয় দেনা – পাওনা গুলোকে নিষ্পত্তি করা। যার সর্বপ্রথম সূচনা হয়েছিলো ১৯৭৫ সালে।
উক্ত সময়ে যুক্তরাজ্যের ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড থেকে “দি ব্যাংকারস ক্লিয়ারিং হাউস” নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সূচনা হয়েছিলো। আর সেখান থেকেই মূলত বর্তমান সময়ের নিকাশ ঘর ব্যবস্থার যাত্রা শুরু হয়েছে।
তবে জানার বিষয় হলো যে, এই নিকাশ ঘর কাকে বলে, নিকাশ ঘরের কাজ ও প্রয়োজনীয়তা কি। মূলত আজকে আমি আপনাকে উক্ত বিষয় গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত বলবো।
নিকাশ ঘর কাকে বলে?
”নিকাশ ঘর” – এই শব্দের ইংরেজি অর্থ হলো, Clearing House. যার প্রধান কাজ হলো, আর্থিক বাজার এর মধ্যে যেসকল ক্রেতা ও বিক্রেতা আছে। তাদের মধ্যে আন্তঃব্যাংকিং দেনা পাওনা গুলোকে নিষ্পত্তি করা। তবে নিকাশ ঘর কাকে বলে, এই বিষয়টিকে আরো একটু সহজভাবে বুঝিয়ে বলা সম্ভব।
যেমন, নিকাশ ঘর মূলত নির্দিষ্ট কোন দেশ বা অঞ্চলের কেন্দ্রীয় ব্যাংক তত্ত্বাবধান করে। আর তাদের তত্ত্বাবধানে উক্ত অঞ্চল বা দেশের মধ্যে যে সকল তালিকাভুক্ত ব্যাংক রয়েছে। তাদের সবাইকে নির্দিষ্ট একটি দিনে, নির্দিষ্ট একটি স্থানে একত্রিত করে।
আর সেই তালিকাভুক্ত ব্যাংক গুলোর মধ্যে যে সকল দেনা পাওনা আছে। সেই দেনা পাওনা গুলোকে নিষ্পত্তি করে। মূলত একেই বলা হয়, নিকাশ ঘর। তো আশা করি, নিকাশ ঘর কি সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে পেরেছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নিকাশ ঘর বলা হয় কেন?
তো এবার অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নিকাশ ঘর বলা হয় কেন। আর আপনি যদি এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আমি আপনাকে বলবো যে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কে নিকাশ ঘর বলার পেছনে বিশেষ একটি কারণ আছে।
আর সেটি হলো, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর নির্দিষ্ট একটি স্থান আছে। যেখানে নির্দিষ্ট অঞ্চল বা দেশের তালিকা ভুক্ত ব্যাংক গুলোকে একত্রিত করা হয়। তারপর সেই ব্যাংকের সকল দেনা পাওনা গুলোর নিষ্পত্তি করা হয়। মূলত এই কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কে নিকাশ ঘর বলা হয়ে থাকে।
বর্তমানে বাংলাদেশে কয়টি নিকাশ ঘর ব্যবস্থা চালু আছে?
নিকাশ ঘর কি সে সম্পর্কে আমরা উপরের আলোচনা থেকে জানতে পারলাম। তো এবার আমাদের জানতে হবে যে, আমাদের বাংলাদেশে বর্তমানে কয়টি নিকাশ ঘর ব্যবস্থা চালু আছে। তো বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে মোট ১৬ টি নিকাশ ঘর ব্যবস্থা চালু আছে। যেখানে আমাদের দেশের মধ্যে থাকা ব্যাংক গুলোর দেনা পাওনা নিষ্পত্তি করা হয়।
ইসলামী ব্যাংক কি সরকারী?
উত্তরঃ ১৯৮৩ সালের ১৩ই মার্চ ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো। আর এটি আমাদের দেশের মধ্যে বে-সরকারি একটি ব্যাংক।
রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক কি সরকারী?
উত্তরঃ রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক এর ধরন হলো, রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংক। যার প্রতিষ্ঠা হয়েছিলো প্রায় ১৯৮৭ সালে। যার সদর দপ্তর ২৭২, বনলতা বাণিজ্যিক এলাকা, রাজশাহী তে অবস্থিত।
কর্মসংস্থান ব্যাংক সরকারি কি না?
উত্তরঃ কর্মসংস্থান ব্যাংক হচ্ছে, বাংলাদেশের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত অ-তফসিলী (Non-scheduled) ব্যাংক।
জনতা ব্যাংক লিমিটেড কি সরকারি?
উত্তরঃ “জনতা ব্যাংক লিমিটেড” আমাদের বাংলাদেশের একটি রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক। এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক হিসেবে পরিচিত।
বিশ্বের প্রথম ইসলামী ব্যাংকের নাম কি?
উত্তরঃ বিশ্বের প্রথম ইসলামী ব্যাংকের নাম “দুবাই ইসলামী ব্যাংক (ডিআইবি)”। আর উক্ত ব্যাংক এর প্রতিষ্ঠতার নাম হলো, প্রতিষ্ঠাতা হাজি সাঈদ লোতাহ।
সোনালী ব্যাংকের স্লোগান কি?
উত্তরঃ সোনালী ব্যাংকের নির্দিষ্ট একটি স্লোগান আছে। আর সেটি হলো, “দীপ্ত শপথ মুজিব বর্ষে, আমরা যাব সবার শীর্ষে”।
শাখা নেটওয়ার্কের দিক থেকে বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক কোনটি?
উত্তরঃ “সোনালী ব্যাংক” – শাখা নেটওয়ার্কের দিক থেকে বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক।
সোনালী ব্যাংকের প্রধান কাজ কি?
উত্তরঃ সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন ধরনের কাজ রয়েছে। যেমন,
-
কৃষি ও শিল্প প্রকল্প ঋণ দান করা,
-
আমদানী ও রফতানী ঋণ প্রদান করা,
-
কৃষিঋণ দেওয়া,
-
ক্ষুদ্র ব্যবসা ঋণ প্রদান করা,
-
এসএমই ঋণ,
-
ভোগ্যপণ্য ঋণসহ
-
বিভিন্ন ঋণ স্কীমের মাধ্যমে শহর ও গ্রামাঞ্চলের জনসাধারণকে সহায়তা প্রদান করা।
মূলত এগুলো হলো সোনালী ব্যাংকের প্রধান কাজ।
আপনার জন্য আমাদের কিছুকথা
প্রিয় পাঠক, গুরুত্বপূর্ণ এই আর্টিকেলে আমি আপনাকে নিকাশ ঘর কাকে বলে সে সম্পর্কে বলেছি। তো আশা করি আপনি উক্ত বিষয়টি সম্পর্কে পরিস্কার ধারনা নিতে পেরেছেন। আর যদি আপনি এই ধরনের অজানা বিষয় গুলো সহজ ভাষায় জানতে চান। তাহলে আমাদের সাথে থাকবেন।
ধন্যবাদ, এতক্ষন ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।