আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা আসলে জানতে চান যে, পুলিশ কনস্টেবল কোন শ্রেণীর কর্মকর্তা। তো বাংলাদেশের পুলিশ কনস্টেবল হলো ১৭ তম গ্রেডের বেতনভুক্ত ৪র্থ শ্রেনীর কর্মকর্তা।
আর আজকের আর্টিকেল থেকে আমরা বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় জানবো। যে তথ্য গুলো আপনার জেনে নেওয়াটা অত্যন্ত জরুরী।
পুলিশ কনস্টেবল কি?
বর্তমান বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনীর অন্যতম একটি পদের নাম হলো, পুলিশ কনস্টেবল। আর একজন পুলিশ কনস্টেবল এর প্রধান কাজ হলো, দেশের জনগনের সেবা করা। এর পাশাপাশি দেশের সকল ধরনের মানুষের নিরাপত্তা প্রদান করা।
পুলিশ কনস্টেবল কোন শ্রেণীর কর্মকর্তা?
আমরা জানি যে, বাংলাদেশের পুলিশ কনস্টেবলের বেতন গ্রেড হলো ১৭ তম। আর আমাদের দেশের সরকারি চাকরির গ্রেড অনুযায়ী ১৭ তম বেতন গ্রেড চতুর্থ (৪র্থ) শ্রেনীর আওতায় পড়ে। তবে ১৭ তম বেতন গ্রেডের পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল পেনশন সুবিধা পায়।
পুলিশ কনস্টেবল এর বেতন গ্রেড কত?
আপনারা অনেকেই জানতে চান যে, পুলিশ কনস্টেবল এর বেতন গ্রেড কত। তো বর্তমান সময়ে আমাদের বাংলাদেশে যারা পুলিশ কনস্টেবল এর চাকরি করেন। তাদের ১৭ তম গ্রেডের বেতন দেওয়া হয়।
আর উক্ত বেতন গ্রেড হিসেবে বাংলাদেশের পুলিশ কনস্টেবল এর বেতন স্কেল হলো, ৯০০০ – ২১৮০০ টাকা। তবে এই বেতনের পাশাপাশি একজন পুলিশ কনস্টেবল আরো বিভিন্ন ধরনের ভাতা পায়। যেমন,
- চিকিৎসা ভাতাঃ ১৫০০ টাকা,
- ঝুঁকি ভাতাঃ ১৫০০ টাকা,
- অস্ত্রভাতাঃ ১০০ টাকা,
- ধোলাই ভাতা ও চুলকাটা ভাতাঃ ৩০০ টাকা।
- টিফিন ভাতাঃ ২০০ টাকা।
এগুলো ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরনের ভাতা প্রদান করা হয়। যেমন, উৎসব ভাতা, ভ্রমণ ভাতা ইত্যাদি। তো আমাদের বাংলাদেশে কর্মরত পুলিশ কনস্টেবল এর বেতন গ্রেড ও ভাতার পরিমান উপরের তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশ কনস্টেবল কি কি রেশন পায়?
হ্যাঁ! বাংলাদেশের পুলিশ কনস্টেবল বিভিন্ন পন্যের রেশন সুবিধা পায়। যেমন, চিনি, চাল, আটা, ডাল ইত্যাদি। সেক্ষেত্রে একজন বিবাহিত পুলিশ কনস্টেবল এর যদি ০৩ সদস্যের পরিবার থাকে। তাহলে বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম অনুযায়ী নিন্মোক্ত রেশন সুবিধা প্রদান করা হবে। যেমন,
- ০৫ কেজি ডাল,
- ০৬ লিটার তেল,
- ০৪ কেজি চিনি,
- ৩০ কেজি চাল,
- ২০ কেজি আটা,
তবে বলে রাখা ভালো যে, সরকারের নিয়ম অনুযায়ী যেকোনো সময় এই রেশনের পরিমান পরিবর্তন হতে পারে।
পুলিশ কনস্টেবল এর কাজ কি?
একজন পুলিশ কনস্টেবল এর মূল কাজ হলো, দেশের জনগনের সেবা করা। আর এই সেবা করার লক্ষ্যে দেশের মধ্যে যেসব সমাজবিরোধী কর্মকান্ড রয়েছে যেমন, চুুরি, ছিনতাই, দাঙ্গা, হাঙ্গামা ইত্যাদি প্রতিরোধ করা হলো পুুলিশ কনস্টেবল এর মূল কাজ।
পুলিশ কনস্টেবল ট্রেনিং কত দিন?
আমরা অনেকেই মনে করি যে, পুলিশ কনস্টেবল হতে গেলে হয়তবা কোনো ধরনের ট্রেনিং করতে হয়না। তো যারা আসলে এমনটা মনে করেন, তাদের ধারনা সম্পূর্ণ ভুল। কেননা, যারা নতুন পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে নিয়োগ দেন। তাদেরকে মৌলিক প্রশিক্ষন হিসেবে মোট ০৬ মাসের কোর্স সম্পন্ন করতে হয়।
আর যখন তারা এই ০৬ মাসের মৌলিক প্রশিক্ষনে উত্তীর্ন হতে পারেন। তারপর তাদেরকে কর্মস্থলে যোগদান করানো হয়।
আপনার জন্য কিছুকথা
আজকের আর্টিকেলে বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল সম্পর্কিত যেসব তথ্য শেয়ার করা হয়েছে। সেই তথ্য গুলো অনলাইনের বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে।
তাই যদি আমার এই তথ্য গুলোতে কোনো ধরনের ভুল থাকে। তাহলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করে জানাবেন। তাহলে আমি আমার ভুল তথ্য গুলোকে আপডেট করে দিবো।
আর এতক্ষন ধরে আমার লেখাটি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।